পজেলা ভূমি অফিসের কার্যাবলী রেকর্ড সংশোধন তথা হালকরণ ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত নকল উত্তোলন অর্পিত সম্পত্তি (ভি,পি) ইজারা গ্রহণ খাস জমির বন্দোবস্ত সার্টিফিকেট কেস ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমির খাজনা মওকুফ জমির শ্রেণী পরিবর্তন রেকর্ড সংশোধন তথা হালকরণ রেকর্ড সংশোধন তথা হাল করণের জন্য আপনাকে নামজারী/জমাভাগ জমা একত্র করতে হবে। আর এজন্য আপনাকে ১০(দশ)টাকার কোর্ট ফি সহ সহকারী কমিশনার(ভূমি)বরাবরে সাদা কাগজে দরখাস্ত করতে হবে। দরখাস্তের সাথে দলিলাদির ফটোকপি,পর্চা,ওয়ারিশান সনদ(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফারায়েজ এর কপি)দিতে হবে। আবেদনটি প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্ত করানো হবে।তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সহকারী কমিশনার(ভূমি)কর্তৃক শুনানী হবে। শুনানীর সময় মূল দলিল,পর্চা নিয়ে আসতে হবে। প্রস্তাবটি মঞ্জুর হলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যেয়ে নূন্যতম ২২৭ টাকা জমা দিয়ে ডি,সি,আর ও খারিজ খতিয়ান পেয়ে যাবেন।আর এজন্য আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ৪৫ দিন। ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত জমির শ্রেণীভেদে খাজনার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপত্তি থাকলে এবং শ্রেণী পরিবর্তন করতে হলে শুনানীর জন্য ৫(পাঁচ) টাকা ফি দিয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর আবেদন করুন। নকল উত্তোলন যেকোন রেকর্ড ও আবেদনের নকল তুলতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের রেকর্ড রুমে আবেদন করুন। অর্পিত সম্পত্তি(ভি,পি) ইজারা গ্রহণ অর্পিত সম্পত্তি সাধারণত ১ (এক) বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। জমি ও অবকাঠামোর ভিত্তিতে লীজ মানি নির্ধারিত হয়।নবায়নের প্রয়োজনে সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর ৫(পাঁচ) টাকার কোর্ট ফি সহ বাংলা বছরের শুরুতেই আবেদন করুন। নবায়ন মঞ্জুর হলে নির্ধারিত লীজমানি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পরিশোধ করে ডি,সি,আর সংগ্রহ করুন। খাস জমির বন্দোবস্ত খাস জমি দুধরণের-কৃষি ও অকৃষি। দুটোই স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। চরাঞ্চলের খাসজমি একসনা ভিত্তিক বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। চাষযোগ্য জমি একসনা নিয়ে ফসল বুনুন এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করুন। সার্টিফিকেট কেস ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়ার দায়ে আপনার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেস হতে পারে। এতে আপনার বাপ দাদার ভোগ দখলকৃত জমি নিলাম হয়ে যেতে পারে। সুতরাং এ দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করুন। প্রয়োজনে সার্টিফিকেট অফিসার/সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর সাথে যোগাযোগ করুন। ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমির খাজনা মওকুফ হাল নাগাদ জমির বিবরণী দাখিল করেছেন, শুধুমাত্র কৃষিজমি যদি ২৫ বিঘা বা তার নিচে হয় তাহলে খাজনা মওকুফের সুযোগ নিন। আর এ কাজে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ৫ (পাঁচ) টাকার কোর্ট ফি দিয়ে আবেদন করুন। জমির শ্রেণী পরিবর্তন পুকুর খনন,জলাশয় ভরাট,কৃষি জমি অকৃষিতে রূপান্তর,যত্রতত্র স মিল স্থাপন ও পরিবেশ বিঘ্নকারী প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিরত থাকুন। জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ৫(পাঁচ) টাকার কোর্ট ফি দিয়ে আবেদন করুন। এ অফিস প্রজা সাধারণের নামে রেকর্ডীয় জমি পরিমাপ করে না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা বা পরামর্শের প্রয়োজন হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস